Sunday, July 12, 2015

**আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোনটি শিখবেন? সফল হবেন কিভাবে? পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন**


অনেকে বর্তমানে এটুকু সচেতন যে, তাকে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে হবে। বসে সময় নষ্ট করলে যে নিজের ক্ষতি, সেটা এখন অনেকেরই উপলব্ধিতে চলে আসছে। এখনও যাদের আসেনি, তাদের জন্য আমার এ লেখাটি।
যারা ক্যারিয়ারের ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন, তাদের এখন প্রশ্ন কোনটি শিখবেন? কি শিখলে কাজ করতে পারবেন।
যে কোন কাজ জেনেই আপনি ভাল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। তবে, গ্রাফিকস, এসইও, ওয়েবডিজাইন, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও অ্যাডিটিং এগুলোর সবকয়টির চাহিদাই বেশি। কোনটি আপনি শিখবেন সেটির উত্তর আপনার নিজেকে ঠিক করতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নাকি ব্যাংকার কোনটা হবো, সেটির উত্তর যেমন দেওয়াটা খুব কষ্টকর, তেমনি এ উত্তরটি দেওয়াও কষ্টকর। কারণ সবগুলোই একইরকম ভাল সেক্টর।
তবে আমি সবগুলোর ক্যারিয়ার নিয়ে জানাতে পারি, যাতে সবার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
১। এসইও: যে কোন কোম্পানীর জন্য মার্কেটিংটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি কাউকে আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নাই মনে হয়। মার্কেটিং হচ্ছে ১টা কোম্পানীর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এ মার্কেটিং অনলাইনে করলে সেটিকেই এসইও বলে। অর্থাৎ ১টা কোম্পানীর পুরো ব্যবসা নির্ভর করে, এসইও এক্সপার্টদের উপর।
২। গ্রাফিক ডিজাইন: যে কোন কোম্পানীর লোগো, ব্রুশিয়ার থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রিন্টিং জাতীয় সকল প্রোডাক্ট গ্রাফিক ডিজাইনাররা তৈরি করেন। আবার যে কোন ওয়েবডিজাইনের শুরুতে কিংবা ভিডিও অ্যাডিটিংয়ের কাজে কিংবা অ্যানিমিশন প্রজেক্টের ক্ষেত্রেও গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রয়োজন। এমনকি এসইও প্রজেক্টের গ্রাফিক ডিজাইনারদের সাহায্য প্রয়োজন হয়। এবার নিজেরেই মনে মনে বের করে নিন, গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য কি পরিমাণ কাজ থাকতে পারে এবং কখনও তাদের কাজের ঘাটতি হবে কিনা।
৩। ওয়েবডিজাইন: ওয়েবডিজাইনারদের সুবিধা হলো, এ সম্পর্কিত কাজগুলো যোগাড় করার জন্য খুব বেশি প্রতিযোগীতাতে পড়তে হয়না। সেজন্য ওয়েবডিজাইনার হলে ক্যারিয়ার গড়ে তোলাটা অপেক্ষাকৃত সহজ। মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ কাজগুলোর প্রতি ঘন্টার রেট ও গ্রাফিকসের কাজের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
৪। ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজটি উপরের সবগুলোর তুলনায় অনেক সহজ। মার্কেট প্লেসে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফলতার জন্য, কিংবা নিজের বা অন্যের কোন ব্যবসার প্রমোশনের কাজের জন্য এটি শিখতে পারেন। কিংবা গ্রাফিক, ওয়েব ডিজাইনের কাজ যোগাড় করার জন্য ইমেইল মার্কেটিংয়ের জ্ঞানটি অনেক বেশি উপকারে আসবে।
৫। ভিডিও এডিটিং : ভিডিও এডিটিং কাজগুলো যেমন মজার, তেমনি কাজটি সহজ আবার আয় করার সুযোগও বেশি। মূলত টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন হলেও বর্তমানে ইউটিউবের যুগে ভিডিও এডিটিংয়ের কাজের সেক্টর অনেক বেড়ে গেছে।
৬। অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট : যারা প্রোগ্রামিংয়ে মোটামুটি ধারণা আছে, তাদের জন্য আমার সবসময়ের পরামর্শ থাকে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখে নিন। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সব সময় এ সেক্টরটির অনেক চাহিদা থাকবে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ ধরনের কাজের প্রতিযোগীতা কম থাকে এবং কাজের প্রতি ঘন্টা রেটও অনেক বেশি হয়।
৭। নেটওয়ার্কিং (CCNA): CCNA সার্টিফাইড হয়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকলেও এ বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন , যারা লোকাল মার্কেটের সবচাইতে চাহিদা সম্পন্ন কাজের সেক্টরগুলোতে (ব্যাংক, টেলিভিশন, টেলিকমিউনিকেশন) চাকুরী করতে আগ্রহী তারা।
৮। আর্টিকেল রাইটিং: লেখালেখি শিখেও অনলাইনে বড় ক্যারিয়ার গড়ে তোলাটা খুব সহজ। একজন ব্লগ রাইটারের অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যাপক চাহিদা।
৯। ভিডিও চ্যানেল তৈরি: ইউটিউবে নিজের একটি ভিডিও চ্যানেল তৈরি করে সেই চ্যানেলের মাধ্যমেও লাইফটাইম আয় করতে পারেন।
১০। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফেলিয়েটের মাধ্যমে অনেকে আয় করতে চায়। এ সেক্টরে আয় অনেক বেশি। জানা দরকার এসইও এবং অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান। ইংরেজি জ্ঞানতো অবশ্যই অনেক বেশি থাকতেই হবে।
১১। অনলাইনে উদ্যোক্তা: কোন কিছুই পারেননা। শুধুমাত্র ফেসবুক চালাতে পারেন। তাহলে ফেসবুককে ব্যবহার করে আপনিও শুরু করতে পারেন সম্পূর্ণ নিজের ব্যবসা। নিজেই তখন একজন উদ্যোক্তা।